পিএফে জমা করার সর্বোচ্চ সীমা
পিএফে সর্বোচ্চ কত টাকা জামাতে পারবেন
নবান্ন সূত্রের খবর, প্রভিডেন্ট ফান্ডের কেন্দ্রীয় অছি পরিষদ আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কোনও কর্মী পিএফ অ্যাকাউন্টে বছরে ৫ লক্ষ টাকার বেশি জমা করতে পারবে না। সেই মতো কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার আলাদা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল।
অভিযোগ, তা সত্ত্বেও কিছু কর্মচারীরা পিএফে সঞ্চয়ের সীমা অতিক্রম করছেন। এর ফলে ইন্টিগ্রেটেড ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার জন্যই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অর্থ দপ্তর।
সাধারণ ব্যাঙ্কে যে সুদ পাওয়া সম্ভব তার থেকে এই সুদের পরিমাণ অনেকাংশেই বেশি। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, যেহেতু এই সুদের পরিমাণ সাধারণ ব্যাঙ্কের থেকে অনেকটাই বেশি সেই কারণে জিপিএফ-এ টাকা রাখছেন বহু সরকারি কর্মীরা। সরকারকে যাতে কোনও অতিরিক্ত সুদ গুণতে না হয় সেই কারণে এবার উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত। এবার থেকে কোনও সরকারি কর্মী নিজের জিপিএফ অ্যাকাউন্টে পাঁচ লাখ টাকার বেশি রাখতে পারবেন না।
এই বিষয়ে মতামত জানিয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী। তাঁর মতে,
রাজ্য সরকারি কর্মীদের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জিপিএফ নিয়ে এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের অর্থ দফতর। সরকারি কর্মীরা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে বছরে পাঁচ লাখের বেশি টাকা জমা করতে পারবেন না, এই নির্দেশিকাতে এমনটাই স্পষ্ট জানানো হয়েছে।
এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী?
আসলে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা মূল বেতন বা বেসিকের ৬ শতাংশ জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা করেন। এই অ্যাকাউন্টের সুদ অনেকটাই বেশি। বছরে এই অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা করতে পারেন সরকারি কর্মীরা। কিন্তু, দেখা যাচ্ছিল এই নির্ধারিত অঙ্কের বেশি অর্থ সেখানে জমা পড়ছিল।সাধারণ ব্যাঙ্কে যে সুদ পাওয়া সম্ভব তার থেকে এই সুদের পরিমাণ অনেকাংশেই বেশি। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, যেহেতু এই সুদের পরিমাণ সাধারণ ব্যাঙ্কের থেকে অনেকটাই বেশি সেই কারণে জিপিএফ-এ টাকা রাখছেন বহু সরকারি কর্মীরা। সরকারকে যাতে কোনও অতিরিক্ত সুদ গুণতে না হয় সেই কারণে এবার উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত। এবার থেকে কোনও সরকারি কর্মী নিজের জিপিএফ অ্যাকাউন্টে পাঁচ লাখ টাকার বেশি রাখতে পারবেন না।
সরকারি কর্মীরা কী ভাবছেন?
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। তাঁদের কথায়, 'যাতে কোনও বাড়তি সুদ সরকারকে গুণতে না হয় সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কার্যকর হতে চলেছে। সরকারি কর্মীদের দিকটিও এক্ষেত্রে ভাবা হয়েছে। অন্যদিকে, কোথাও গিয়ে যাতে ভারসাম্য বজায় থাকে সেই বিষয়টির দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।'এই বিষয়ে মতামত জানিয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী। তাঁর মতে,
‘যে বাড়তি আয় জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করা হচ্ছে তা আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যবিহীন। কিন্তু, সরকারকে তার জন্য গুণতে হচ্ছিল সুদ। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে তা আর হবে না। এই বাড়তি সুদ গোনা বন্ধ হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।’রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অধিকাংশই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দূরদর্শী, দাবি রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশের।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন