- Get link
- Other Apps
সর্বশেষ গুরুত্বপুর্ণ খবর
Posted by
GBN NEWS
on
- Get link
- Other Apps
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর তা হলো বামপন্থীরা চিনের আগ্রাসন নিয়ে মুখ খুলছে না কেন? এখানে আমেরিকা হলে তো কলকাতা শহর কেঁপে উঠতো।
সত্যি কথা বলতে কি কলকাতা কাঁপানো মত ক্ষমতা বা পরিস্থিতি বর্তমানে বামপন্থী কেন কোনো পন্থীরই এখন আর নেই। কিন্তু চিন নিয়ে বামপন্থীদের অবস্থান স্পষ্টই আছে। বামপন্থীরা চিনের এই আগ্রাসনের বিরোধিতা করছে। আমার মনে হয় সাধারণ মানুষের কাছে সে খবরগুলো পৌঁছাচ্ছে না।
না পৌঁছানোই স্বাভাবিক। কারণ, ডানপন্থী মিডিয়াগুলো বামপন্থীরা আমেরিকার বিরুদ্ধে কথা বললে, সেটা ফলাও করে খবর করে এবং বামপন্থীদের ভাবনা ভুল - এটা প্রমাণ করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। আজকের পরিস্থিতিতে চিনের বিরুদ্ধে বলা বক্তব্য তারা গুরুত্ব দিয়ে খবর করছে না। এটা ডানপন্থী মিডিয়ার একটা রাজনৈতিক কৌশল।
কারণ, চিন নিয়ে বামপন্থীদের অবস্থান পরিষ্কার হলে এরা বামপন্থীদের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালাতে পারবে না। বামপন্থীদের বিরুদ্ধে এদেশের মিডিয়া যে প্রোপাগান্ডা চালায়, তার প্রধান ভিত্তি হচ্ছে পৃথিবীর কমিউনিস্ট দেশগুলির সম্পর্কে এদেশের বামপন্থীদের ধারণাকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা। তাই এই দেশগুলির কোন সমালোচনা বামপন্থীরা করলেও তা ফলাও করে এরা ছাপে না। কারণ তা ছাপালে বামপন্থীদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা করা আর সম্ভব হবে না। মানুষ বুঝে ফেলবে যে বামপন্থীরা যা বলে, তার যথাযত ভিত্তি আছে।
আসলে আমি যে কথাগুলো বললাম এই কথাগুলো বুঝতে গেলে আমাদের বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে এবং তারই প্রেক্ষিতে বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। যদি সেটা থাকে, তাহলেই ছোট্ট যে কথাগুলো বললাম, সেগুলো বোঝা যাবে। যদি সেখানে কোন ঘাটতি থাকে তাহলে বোঝা একটু কঠিন হবে।
আসলে পৃথিবীতে যত যুদ্ধ-বিগ্রহ হচ্ছে তার মূল ভিত্তি হচ্ছে পৃথিবীতে কোন অর্থনীতি চালু থাকবে তা নিয়ে মতপার্থক্য এবং মতবিরোধ। পৃথিবীতে অর্থনীতির মূল কাঠামো আছে দুটি। একটা সমাজতান্ত্রিক, অন্যটি ধনতান্ত্রিক। তবে তার রূপ এক এক দেশে ভিন্ন ভিন্ন রকম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন চেহারায় যে লড়াই চলছে তা মূলত এই দুটি অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে লড়াই।
এই দুটো অর্থনীতির একটি গুণগত পার্থক্য আছে। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি সমাজে ধনবৈষম্যকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। তাতে ব্যক্তির হাতে ইচ্ছামত ধনসম্পদ সঞ্চয় করা যায়। অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি ধন বৈষম্য ধ্বংস করতে চায়। তারা চায় ধন-সম্পদের সামাজিক মালিকানা তৈরি হোক এবং ধনসম্পত্তি সমস্ত মানুষের মধ্যে সমানভাবে বণ্টিত হোক। আর এটা হলে একজন ব্যক্তি লাগামহীনভাবে তার সম্পত্তি বাড়াতে পারবে না এবং গরীব ও মধ্যবিত্তকে তার প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না।
আজকের পৃথিবীতে ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে আমেরিকা। আর সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির পৃষ্ঠপোষক ১৯৯০ দশকের আগে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সেই জায়গায় আস্তে আস্তে নিয়ে নিয়েছে চিন। তাই আজকের পৃথিবীতে মূল যে লড়াই তা মূলত আমেরিকার সঙ্গে চিনের।
এখন প্রশ্ন হতে পারে, এর সাথে চিনের ভারতের ভূখণ্ড দখলের সম্পর্ক কোথায়? প্রশ্নটা খুব স্বাভাবিক এবং সহজ। কিন্তু উত্তরটা স্বাভাবিক হলেও মোটেই সহজ নয়।
আজকে যে দু'দেশের মধ্যে যুদ্ধ-যুদ্ধ পরিস্থিতি তা ভারত এবং চিন দুই দেশের পক্ষেই মারাত্মক ক্ষতিকর। এটা দুদেশেরই বোদ্ধা মানুষেরা খুব সহজেই বুঝতে পারে। দু দেশের সরকারও জানে সে কথা। তা সত্ত্বেও এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
কেন? এটা সাধারন মানুষ সহজে বুঝতে পারবেন না।
আসলে এখানেও রয়েছে সেই আমেরিকা এবং চিনের বিশ্ব অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল। আমেরিকা ভয় পাচ্ছে চিনের অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে এবং চিন যেভাবে শক্তিশালী হচ্ছে, আটকাতে না পারলে, আগামী দিনে চিনই হবে পৃথিবীর দাদা। তাই তাকে আটকাতেই হবে। চিনকে আটকাতে গেলে তার হাতের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে ভারত। ভারতের বড় বাজার রয়েছে, রয়েছে সস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্রমিক পাওয়ার সুবিধা। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির জন্য যা খুবই দরকারি। তাই ধনতন্ত্রের প্রসারের জন্য ভারতে চিনের প্রভাব বাড়তে দিলে চলবে না।
আর এই প্রেক্ষিতেই আমেরিকার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের বাজারে চিনের পর্যাপ্ত বিনিয়োগ। ভারতের বাজারের ৭৫% থেকে ৮০% ভোগ্য পণ্যের বাজার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চিনের দখলে। যেহেতু চিনের প্রোডাক্ট সস্তা (এবং সেই সস্তা হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে সেদেশের সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের অর্থনীতি) সেহেতু আমেরিকা বা অন্য ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বেশি দামী পণ্য ভারতের বাজারে চলছে না। এটা ধনতান্ত্রিক দেশগুলোর পক্ষে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঠিক এই কারণে আমেরিকা এবং চিনের দ্বন্দ্ব ভারত-চিন সীমান্তে নতুন চেহারায় হাজির হয়েছে।
কিভাবে?
আমেরিকা চাইছে -
১) ভারত চিনের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়া বন্ধ করুক।
২) ভারতের বাজার চিনের জন্য বন্ধ হোক। কারণ চিনের সস্তা জিনিসের সঙ্গে আমেরিকা তথা ধনতান্ত্রিক দেশগুলির দুর্মূল্য পণ্য বিক্রি হচ্ছে না।
ফলে ধণতন্ত্র পৃথিবীজুড়ে গভীরতর সংকটের মধ্যে পড়েছে। আর ধনতন্ত্রের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা পড়েছে মহাসঙ্কটে। তার দরকার ভারতকে পাশে পাওয়া।
আমাদের দেশও পুরোপুরি ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে। তাই এখানেও সেই সংকট গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। সেটা সারা ভারতবর্ষই জানে। এই সংকট থেকে বেরোতে চাইছে দুটি দেশই। আমেরিকা এবং ভারত।
এক্ষেত্রে ভারতের পাশে যখন চিন দাঁড়িয়েছে, তখনই তা আমেরিকার কাছে শিরো পীড়ার কারণ হয়ে উঠেছে। এবং আমেরিকা ভারতের উপর একের পর এক চাপ সৃষ্টি করেছে রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থাগুলোকে দ্রুত বেসরকারিকরণ করে দেওয়ার। অর্থাৎ ভারতে যেটুকু সম্পদের সামাজিকীকরণ আছে তাও তুলে দাও। এবং সেজন্য দেখা যাচ্ছে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানা দ্রুত বেসরকারি মালিকদের হাতে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে জলের দরে। এগুলো বিক্রি হয়ে গেলে রাষ্ট্রশক্তি অর্থের জন্য পুরোপুরি ধনতন্ত্রের মূল শক্তি দেশি এবং বিদেশি পুঁজিপতিদের অর্থের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। এবং সেই দেশ তখন বাধ্য হবে দেশি-বিদেশি পুঁজিপতিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে।
আমাদের দেশের বর্তমান সরকার, তার যে প্রধান পৃষ্ঠপোষক আরএসএস, এই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার পৃষ্ঠপোষক। তারাও চায় সরকার দ্রুত রাষ্ট্রায়াত্ত সম্পত্তিগুলো ধনতান্ত্রিকদের হাতে বিক্রি করে দিক।
সুতরাং ভারত সরকারের উপর বাইরের (আমেরিকার) এবং ভিতরের (আরএসএস) প্রচন্ড চাপের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হচ্ছে। বর্তমান সরকার যেহেতু আরএসএস দ্বারা পরিচালিত সেহেতু সে আগেভাগেই মাথা নত করে বসে আছে। আর এই কারণেই আমেরিকার মতই ভারতের অর্থনীতির হাল খুবই খারাপ।
খারাপ অর্থনীতির প্রভাব সবচেয়ে বেশি কাদের উপর পড়ে? হ্যাঁ, গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের উপরে এই চাপ ভয়ঙ্কর ভাবে পড়ে। আমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছি সেটা কী ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে।
এটা যে ভয়ঙ্কর চেহারা নেবে, তা ধনতান্ত্রিক মতাদর্শের বোদ্ধা মানুষরা জানে। আমাদের সরকারও জানে। তারা জানে, মানুষ এতে ক্ষুব্ধ হবে। আর তাই ধনতান্ত্রিকদের এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র ধর্ম। ধর্মীয় ভেদাভেদ করে গরিব ও মধ্যবিত্তকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। তারা যাতে একত্রিত হয়ে বিদ্রোহী হয়ে না ওঠে, তার সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ হচ্ছে ধর্মীয় ভেদাভেদ।
দ্বিতীয় যে অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে, তা হলো জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমকে উগ্রতার মোড়কে উপস্থাপন করে উগ্র জাতীয়য়তাবাদের জন্ম দেওয়া। এই উদ্দেশ্যে অখন্ড ভারতের নতুন মানচিত্র তৈরী করে যুব সমাজের মধ্যে প্রচার করা। একাজ আগেও করা হয়েছে। কিন্তু ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, যা আগে হাত না। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলির কাছে এই বিষয়টি গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মানচিত্রে দেখানো হচ্ছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, তিব্বত, ভুটান, বাংলাদেশ, ব্রহ্মদেশ, শ্রীলঙ্কা মিলে গঠিত হবে অখন্ড ভারতবর্ষ।
শুধু ভারতে নয় সারা বিশ্বজুড়ে ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো এই অস্ত্র ব্যবহার করে চলেছে। সেই ধর্ম কখনও খ্রিষ্টান, কখনো ইসলাম, কখনো হিন্দু। যেখানে যে নামে আছে, সেই নামেই ভেদাভেদ করে ধনতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। বর্তমান ভারত সরকারও তা-ই করছে।
আর এটা করতে গিয়ে ভারত অভ্যন্তরীণ সংকটের মধ্যেও পড়েছে। এককথায় পরিস্থিতি একেবারে লেজে গোবরে। একই পরিস্থিতি পাকিস্তানেরও। আর এই কারণেই মাঝে মাঝে, মানে ভোট আসলেই, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আর পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে ধর্মীয় জিগির তুলে ভেদাভেদ তৈরি করে ভোটে জেতার চেষ্টা করে। সেটা করতে গেলে মাঝে মাঝে বিস্ফোরণ ঘটাতে হয়, ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করে আবার পাকিস্তান ভারতকে আক্রমণ করে। এভাবেই সংকট গভীর হয়েছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে এই খেলা করতে গিয়ে ভারত ফেঁসেছে। যখনই কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জনগণকে খেপানো হচ্ছে, তখনই প্রশ্ন উঠছে কাশ্মীরের একটা অংশ চিনও তো দখল করে রেখেছে। সেক্ষেত্রে ভারত কেন চুপ রয়েছে? তাহলে ভারত কী চিনকে ভয় পায়? কাগুজে বাঘ পাকিস্তানকে নিয়ে যত আস্ফালন আর রাজনৈতিক ফায়দা তোলা?
পার্লামেন্টে এই ধরণের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই অমিতজি বলে ফেলেছেন, আমরা কাশ্মীরের সমগ্র অংশই আমাদের দখলে নেওয়ার ক্ষমতা রাখি। আর আমরা মুখে যা বলি, তা করে দেখাই। এবং সত্যি সত্যিই অমিতজি যা বলেন, তা করে দেখান। বর্তমান কাশ্মীর নীতি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
ফলে ধণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য যে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা পাকিস্তান আর ভারত শুরু করেছিল, তা শুধুই যে খেলা, এই বিশ্বাস আর প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো সব সময় রাখতে পারছে না। বিশেষ করে চীন ও পাকিস্তান বর্তমান ভারত সরকারের কার্যকলাপকে গভীর সন্দেহের চোখে দেখছে। আর এই সন্দেহ থেকেই দুটো দেশই যৌথভাবে ভারতের উপর চাপ তৈরি করার কৌশল নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এবং সেই কৌশলেরই একটি অঙ্গ চিনের ভারতের ভূখণ্ডে জবরদখল। লক্ষ্য, দখলের পর আলোচনা এবং আলোচনায় শর্ত সাপেক্ষে একটু পিছিয়ে যাওয়া।
প্রকৃতপক্ষে চিন চাইছে না, ভারত ট্রাম্পের সঙ্গে বেশি মাখামাখি করুক। তার জন্য ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রচুর ইনভেস্ট করেছে এবং সহজ শর্তে ঋণও দিয়েছে। শুধু ভারত নয়, ভারতের প্রত্যেকটা প্রতিবেশী দেশকে আর্থিক সহযোগিতা করে এবং ঋণ দিয়ে তাদের আমেরিকাপন্থী হওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করে চলেছে। নেপাল ও শ্রীলংকার অবস্থান নিশ্চয়ই আমাদের নজরে আছে।
এখানেই ভারতের পররাষ্ট্রনীতির আর একটা বড় ভুল ধরা পড়েছে। ভারত বরাবরই জোট নিরপেক্ষ নীতি নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ধনতান্ত্রিক এবং সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মধ্যে সম-দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে। ফলে কোন পক্ষই ভারতের উপর অন্যায্য চাপ তৈরি করতে চায়নি এবং পারেও নি। কিন্তু বর্তমান সরকার আমেরিকার সঙ্গে অত্যধিক মাখামাখি করার কারণে চিনের সন্দেহ আরো বেড়ে গেছে। আর এ কারণেই চিন ভারতীয় দখলে থাকা ভূখণ্ডে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ভারতকে চাপে রাখতে চাইছে।
বামপন্থীরা চিনের এই আগ্রাসনকে সমর্থন করছে না এবং একই রকমভাবে ভারতের জোট নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরে আসাকেও পছন্দ করছে না। এবং সেইজন্যে বামপন্থীদের অবস্থান হলো, চিনের সঙ্গে আলোচনায় বসে, যদি সম্ভব হয়, অসামরিক পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ন্যায্য মীমাংসা করা উচিত।
Comments
Post a Comment