ও বি সি তালিকাভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির বিষয়ে কিছু সমস্যা
বিশেষ প্রতিবেদন, কলকাতা : সম্প্রতি রাজ্যের কলেজগুলিতে ভর্তির ব্যাপারে কিছু সমস্যার কথা উঠে আসছে। বিশেষ করে ওবিসি ক্যাটেগরিতে ভর্তির ব্যাপারে জটিলতার কথা বলছেন কেউ কেউ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশন টেস্ট দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়া ছাত্রছাত্রীদের ওবিসি সার্টিফিকেট রিনিউয়াল করার কথা বলা হয়েছে। তারা যে নন-ক্রিমিলেয়ার এর অন্তর্ভুক্ত সে ব্যাপারে রাজ্যের অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের কাছ থেকে সার্টিফিকেট আনার কথা বলা হচ্ছে বলে কয়েকটি সূত্র জানাচ্ছে।
এক্ষেত্রে দুটি প্রশ্ন উঠে আসছে -
এক ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কি সার্টিকিকেটের রিনিউ কপি দাবি করে এডমিশন আটকে দিতে পারেন? কারণ, অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের ওয়েব সাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র এমপ্লয়মেন্ট এর ক্ষেত্রে এই ধরণের সার্টিফিকেট চাওয়ার প্রভিশন আছে। এডমিশনের ক্ষেত্রে সেটা যে বাধ্যতামূলক তা সেখানে বলা নেই। এক্ষেত্রেই উঠছে প্রথম প্রশ্ন। ২৭/০৭/২০১৫ তারিখে গাইড লাইনের ১৪ নম্বর পয়েন্টের উল্লেখ করে তারা এই প্রশ্ন তুলেছেন। গাইডলাইনের পুর্নাঙ্গ ডকুমেন্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন
১৪ নং পয়েন্টের স্ক্রিনশর্ট
দুই ) দ্বিতীয় প্রশ্ন উঠছে সার্টিফিকেট রিনিউ করার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে যে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে তা কখনো সার্টিফিকেট দিতে অহেতুক বিলম্বের এবং নন-ক্রিমিলেয়ার নির্ধারণের বিষয়ে অসচ্ছ ধারণা থাকার কারণে রিনিউ করতে অস্বীকার করার। আধিকারিকদের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে ক্রিমিলেয়ার সার্টিফিকেট দেওয়ার মত পর্যাপ্ত তথ্য আবেদনকারী দিতে পারছেন না। উদাহরণ হিসাবে তারা জানাচ্ছেন যাদের পিতামাতা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারী দপ্তরে ৪৮০০ টাকা গ্রেড পে হিসাবে সালারী পান তারা গ্রূপ 'এ' ক্যাটাগরির কর্মচারী। সেই হিসাবে তারা ক্রিমিলেয়ারের অন্তর্ভুক্ত হবেন। এই কারণে সরকারী ও সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির অনার্স ও পিজি ক্যাটাগরির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সন্তানদের এই সার্টিফিকেট রিনিউ করা যাচ্ছে না।
কিন্তু আবেদনকারীদের তরফে জানানো হচ্ছে আধিকারিকদের এই দাবির মধ্যে তথ্যগত ভুল রয়েছে। তারা দাবি করছেন OBC certificates are issued in terms of Govt. Notification No. 347-TW / EC dated 13-07-1994. অনুযায়ী যে রিনিউয়াল ও আপগ্রেড করার গাইডলাইন অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরেরর ওয়েভ সাইটে দেওয়া আছে তাতে আধিকারিকদের এই দাবির সমর্থন মিলছে না।
তারা তাদের দাবির সমর্থনে notification No. 346-TW/EC dated the 13thJuly, 1994 এর কথা তুলে ধরছেন। উপরের (আগের বাক্যে দেওয়া) লিঙ্কে ক্লিক করলেই সম্পূর্ণ নোটিফিকেশনটি পড়া যাবে।
তাদর দাবি
১ ) তারা রাজ্য সরকারের সরাসরি (direct recruitment) কর্মচারী নন।
২) রাজ্য সরকারের Class I officer-ও নন তারদের পিতা বা মাতা।
৩) এই গাইডলাইনে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের Class I officer হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বা 'এ গ্রেড অফিসার' হিসাবে গণ্য করা হবে তাও উল্লেখ করা হয় ন।
৪) ৪৮০০ টাকা গ্রেড পে হলেই যে কোনো শিক্ষক Class I officer এর পর্যায় পড়বেন তারও উল্লেখ নেই।
৫) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আবেদনকারীর পারিবারিক আয়কে (সালারী থেকে পাওয়া) গুরুত্ব না দিয়ে তার পিতা-মাতার গ্রেড-পে'কেই একমাত্র শর্ত হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। অথচ ৪৮০০ টাকা গ্রেড পে হলেই যে কেউ ক্রিমিলেয়ার-এ পড়বেন তারও কোনো নির্দেশিকা অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিকরা দেখাতে পারছেন না।
৫) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আবেদনকারীর পারিবারিক আয়কে (সালারী থেকে পাওয়া) গুরুত্ব না দিয়ে তার পিতা-মাতার গ্রেড-পে'কেই একমাত্র শর্ত হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। অথচ ৪৮০০ টাকা গ্রেড পে হলেই যে কেউ ক্রিমিলেয়ার-এ পড়বেন তারও কোনো নির্দেশিকা অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিকরা দেখাতে পারছেন না।
সুতরাং তাদের দাবি ক্রিমিলেয়ার প্রসঙ্গ তুলে ও বি সি রিনিউয়ালের বিষয়টির জটিলতার কারণে অনেক যোগ্য প্রার্থী যাদবপুরের মত কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন