স্কুল সার্ভিস কমিশন : কবে কাটবে বেতনের জট

সঞ্চারী পুরকাইত, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : স্কুল সার্ভিস কমিশন এর পরীক্ষা এবং নিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভ এবং অনশন আপাতত স্থগিত রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে। কিন্তু এর পাশাপাশি ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে সমস্যা বহুদিন থেকেই মিটছেনা

২০১৬ র স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষায় কমিশন সমবেতন কাঠামো অথবা নিম্নতর বেতন কাঠামোয় পরীক্ষায় বসা নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করে। অর্থাৎ, পাস ক্যাটেগরির শিক্ষকরা অনার্স পিজি পদে আবেদন করতে পারবেন, কিন্তু একই ক্যাটেগরিতে তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। কিছু চাকুরিরত পরীক্ষার্থী বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে গেলে মহামান্য হাইকোর্ট তাদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেয়। ইতিমধ্যে বেশ কিছু চাকুরিরত শিক্ষকশিক্ষিকাই পরীক্ষায় পাশ করে নতুন স্কুলে নিযুক্ত হয়ে গেছেন।

কিন্তু মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে আইনি জটিলতায় এই সমস্ত শিক্ষকশিক্ষিকা চাকরির কন্টিনিউয়েশনের কোনও সুবিধা পাচ্ছেন না। এতে বেতন, ছুটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড সহ বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও খবর দেখুন :
এসএসসি : অনশনের ২৮ দিন, অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস।
এসএসসি : মধ্যরাতে নতুন নাটক, অনশন মঞ্চে পুলিশ।

পরীক্ষা দিয়ে পূর্বমেদিনীপুর থেকে কলকাতার কাছাকাছি এক স্কুলে আসা এমনই এক শিক্ষক জানিয়েছেন, বাড়ির নিকটবর্তী স্কুলে আসার জন্যই পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু নয় বছরের বেশি চাকরি হয়ে যাওয়ার পর নতুন স্কুলে জয়েন করে প্রায় দশ হাজার টাকা কম পাচ্ছেন তিনি। আবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার প্রান্তিক এলাকা থেকে দক্ষিণ কলকাতার এক স্কুলে যোগ দেওয়া এক শিক্ষিকা জানান নিজের শিশুসন্তানের দেখভালের জন্য বাড়ির কাছের স্কুলে আসতে একই স্কেলের পদে পরীক্ষায় বসেন,কিন্তু তাঁর বেতন কমে গেছে প্রায় সাত হাজার টাকা। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার এক শিক্ষিকা পাস ক্যাটেগরিতে ওয়ার্ক এডুকেশন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে পিজি ক্যাটেগরিতে নতুন স্কুলে যোগ দিয়েছেন।তিনিও বেতনকাঠামোয় কোনও কন্টিনিউয়েশন পাননি। এমনকি চাইল্ড কেয়ার লিভের মতো প্রয়োজনীয় ছুটি নিতেও তাঁদের নিয়মের বাধা তৈরি হয়েছে।

আগের কোনও এসএসসির ক্ষেত্রেই কিন্তু এ সমস্যা কখনও দেখা দেয়নি। নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি শ্রী কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্য জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তাঁদের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও সরকারি তরফ থেকে এমন কোনও নিশ্চিত আশ্বাস ভুক্তভোগী শিক্ষকরা পাচ্ছেন না। চাকরিতে যোগদানের ছয়মাস পরও এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।


মন্তব্যসমূহ

  1. মাননীয়া লেখিকাকে আমাদের মতো সমস্যা-জর্জরিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক ও শিক্ষক। সঙ্গে থাকুন।

      মুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

Facebook